প্রতিষ্ঠানটির এ সময়ে ২৫ শতাংশ মার্জিন নিয়ে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি মূল্য (ইপিএস) ৬.৫৯ টাকা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বছরের প্রথম নয় মাস শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা এখন সাত কোটি ৭৬ লাখ যার মধ্যে ৫৪.১ শতাংশ বা চার কোটি ২০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘কভিড-১৯-এর প্রথম মাসগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে শুরু হওয়ায় বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ব্যবসায়িকভাবে ফিরে আসতে শুরু করেছে। তবে এ প্রান্তিকে বিরূপ আবহাওয়া আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলেছে। মানুষের কাছে ফোরজি সেবা পৌঁছে দিতে তৃতীয় প্রান্তিকে আমাদের এ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। শক্তিশালী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এ সময়ে গ্রাহকদের ফোরজিতে রূপান্তর করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আগের প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে ৪.১ শতাংশ বেশি গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছেন।’
গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, ‘২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ও বন্যা নতুনভাবে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮.১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর তৃতীয় প্রান্তিকে আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসতে সমর্থ হয়েছি। এ সময়ে ভয়েস ও ডেটাসহ মোট রাজস্ব আদায়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় প্রথম নয় মাসে ডিজিটাল রির্চাজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।’ গ্রামীণফোন গ্রাহক সেবা উন্নয়নে ও ডেটার প্রবৃদ্ধিতে পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩২০ কোটি (লাইসেন্স ও লিজ বাদে) টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে এক হাজার ৭০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৮১। ২০২০ সালের প্রথম নয় মাসে গ্রামীণফোন সরকারের কোষাগারে কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফোরজি লাইসেন্স ও স্পেকটার্ম এসাইনমেন্ট বাবদ মোট রাজস্বের ৬৮ শতাংশ বা সাত হাজার ১২৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।